বাংলায় চৈতন্য আন্দোলন

1485 খ্রিস্টাব্দে শ্রীচৈতন্যদেব বাংলাদেশের নবদ্বীপে জন্মগ্রহণ করেন। শিশুকাল থেকে তিনি ছিলেন বিদ্যানুরাগী ও ধর্ম ভাবাপন্ন। তিনি 24 বছর বয়সে সংসার ত্যাগ করে বিভিন্ন স্থানে পরিবহন করেন এবং অবশেষে জীবনের বাকি দিনগুলি পুরীতে অতিবাহিত করেন।

তিনি ছিলেন বৈষ্ণব ধর্ম প্রচারকদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। তাঁর প্রচারিত ধর্মের মূলকথা হলো, বৈরাগ্য ও শ্রীকৃষ্ণের গভীর প্রেম। জাতিভেদ প্রথার ঘর বিরোধী তিনি ছিলেন। জাতি, ধর্ম এবং ছোট-বড় নির্বিশেষে সকলকে তিনি শিষ্য রূপে বরণ করতেন। শ্রীচৈতন্যদেবের মতাদর্শ সাধারণ মানুষের মনে গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল এবং তারা এক অভাবনীয় মুক্তির স্বাদ গ্রহণ করেছিল।

বাংলায়-চৈতন্য-আন্দোলন
শ্রীকৃষ্ণ

বাংলায়-চৈতন্য-আন্দোলন
গোপীদের সঙ্গে শ্রীকৃষ্ণের লীলা

বাংলায়-চৈতন্য-আন্দোলন

বাংলায়-চৈতন্য-আন্দোলন
রাধা কৃষ্ণ


চৈতন্যদেব বাঙালির জাতির ইতিহাসে প্রথম সার্বিক জাগরণ সৃষ্টি করেন। অনেক মুসলমান তাঁর ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। শুধু ধর্মের ক্ষেত্রে নয় বাংলার সামাজিক ইতিহাসে এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে চৈতন্যদেবের আবির্ভাব এক নবযুগের সূচনা করে। বাঙালির জীবন ও মনের উপর চৈতন্যদেবের সুগভীর প্রভাব প্রসঙ্গে সুকুমার সেন মন্তব্য করেছিলেন- "চৈতন্যদেবের অপূর্ব প্রতিভা কি ধর্মে, কি দর্শনে, কি সাহিত্যে, কি সংগীত কলায় সর্বত্র বিচিত্রভাবে স্ফূর্তি হতে থাকে"।

সুলতানি আমলে ধর্ম সংস্কারের যে আন্দোলন দেখা দিয়েছিল এবং ধর্ম প্রচারকগণ যে ভক্তিবাদের প্রচার করেছিলেন, বিভিন্ন দিকে তার প্রভাব পড়েছিল-

প্রথমত- এই সমস্ত ধর্মের প্রচার কার্যের ফলে উভয় ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে সম্প্রতি সৃষ্টি হবার একটি নতুন পথ তৈরী হয়েছিল। পরস্পর পরস্পরকে বোঝা ও ঐক্য বিধানের প্রচেষ্টা জীবন্ত হয়ে উঠেছিল।

দ্বিতীয়ত- হিন্দু ধর্মের অভ্যন্তরীণ সংস্কার সাধন অনেকটা বাস্তব রূপ গ্রহণ করেছিল।

তৃতীয়ত- হিন্দু ধর্মের সংস্কার সাধনের ফলে ইসলামের অগ্রগতি অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছিল। তবে এক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি যে, এই আন্দোলনের ফলে প্রাদেশিক ভাষার ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন দেখা দিয়েছিল। ধর্ম সংস্কারকগণ সংস্কৃতির পরিবর্তে সাধারণ বোধগম্য প্রাদেশিক ভাষাতে তাদের গ্রন্থাদি রচনা করেছিলেন।

উপরের আলোচনায় পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, চৈতন্যদেব ছিলেন ভক্তিবাদ প্রচারকদের মধ্যে একজন অন্যতম। তাঁর মতে- ব্রাহ্মণ ভক্তি আন্দোলনের সাথে সংশ্লিষ্ট হলেও আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন সমাজের নিম্ন বর্ণের জনগণ, তাই বলা যায় ভক্তি আন্দোলন সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সহায়ক হয়েছিল।



তথ্যসূত্র

  1. অধ্যাপক গোপালকৃষ্ণ পাহাড়ী, "মধ্যকালীন ভারত"
  2. সতীশ চন্দ্র, "মধ্যযুগে ভারত"
  3. Poonam Dalal Dahiya, "Ancient and Medieval India"
  4. Upinder Singh, "A History of Ancient and Early Medieval India: From the Stone Age to the 12th Century"

    সম্পর্কিত বিষয়

    সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|
                  ......................................................


    নবীনতর পূর্বতন
    👉 আমাদের WhatsApp Group- ক্লিক করুন 🙋‍♂️
    
        
      
      👉 আমাদের WhatsApp Channel- ক্লিক করুন 🙋‍♂️
      
    
    
      
    
       
    
        👉 আমাদের Facebook Group- ক্লিক করুন 🙋‍♂️
      
    
    
      
    
       
      
      
        👉 আমাদের Facebook Page-ক্লিক করুন 🙋‍♂️
    
    
        👉আমাদের YouTube চ্যানেল - সাবস্ক্রাইব করুন 👍 
    
    
    
    
        
      
    
      
    
    

    টেলিগ্রামে যোগ দিন ... পরিবারের সদস্য

    
    

    টেলিগ্রামে যোগ দিন ... পরিবারের সদস্য


     


     




    
    

    👉নীচের ভিডিওটি ক্লিক করে জেনে নিন আমাদের ওয়েবসাইটের ইতিহাস এবং বিভিন্ন চাকুরী সম্পর্কিত পরিসেবাগুলি 📽️

    
    
    

    👉 জেনে আপনি আমাদের প্রয়োজনীয় পরিসেবা 📖

    👉ক্লিক করুন 🌐