চতুর্দশ শতকের ইউরোপে যে কয়টি রোগ মহামারীর আকারে দেখা দিয়েছিল, "প্লেগ" ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম| প্লেগ সাধারনত দুই ধরনের- বিউ বোনিক এবং নিউ মোনিক| এর মধ্যে নিউ মোনিক প্লেগের আক্রমণে রোগীর গাত্রবর্ণ কালো হয়ে যেত, তাই প্লেগ রোগের আরেক নাম ছিল "কালো মৃত্যু" বা "Black Death"|
তবে চতুর্দশ শতকের ইউরোপের যে প্লেগ মহামারী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিল, তার প্রকৃতি ছিল মিশ্র| সাধারণভাবে মনে করা হয় যে, চতুর্দশ শতকে রেশম পথ দিয়ে পশ্চিমগামী, মঙ্গল বাহিনী ও বণিকদের মাধ্যমে প্লেগ রোগের ভাইরাস ইউরোপে প্রবেশ করেছিল|
প্লেগ রোগের আক্রমণ প্রথম দেখা দেয় ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে, তারপর ধীরে ধীরে ইউরোপের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছিল| গবেষকদের অনুমান এই সময় ইউরোপের 80 মিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে 25 মিলিয়ন মানুষ প্লেগ রোগে মারা গিয়েছিল|
এরকম একটি ভয়াবহ মহামারী ইউরোপের আর্থ-সামাজিক জীবনের উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে| ইউরোপের জনসংখ্যা 1/3 অংশ হ্রাস পাওয়ার ফলে কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্যে কৃষক-শিল্পি-কারিগর ও শ্রমিক সরবরাহ কমে যায়, উৎপাদন হ্রাস পায়| কৃষকের অভাবে বহু কৃষি জমি অনাবাদি হয়ে থাকে|
তথ্যসূত্র
- অধ্যাপক গোপালকৃষ্ণ পাহাড়ি, "ইউরোপের ইতিবৃত্ত"
- George Holmes, "The Oxford History of Medieval Europe".
- C. Warren Hollister, "Medieval Europe: A Short History".
সম্পর্কিত বিষয়
- ষোড়শ শতকের ইউরোপের মানচিত্র অঙ্কনের বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা (আরো পড়ুন)
- নবজাগরণ বা রেনেসাঁ কাকে বলে এবং ইউরোপীয় সমাজের উপর এর প্রভাব .(আরো পড়ুন)
- ইতালীয় রেনেসাঁর চিত্রকলা (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|
.......................................