দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সাম্রাজ্যবাদের পতন

অষ্টাদশ শতকের দ্বিতীয় ভাগ থেকে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, পর্তুগাল, হল্যান্ড, স্পেন প্রভৃতি ইউরোপীয় শক্তি এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য বিস্তার করতে থাকে| 

কালক্রমে তাদের শাসন ও শোষণের ব্যতিব্যস্ত হয়ে এই সব দেশে জাতীয়তাবাদের উন্মেষ হয় এবং জনসাধারণ ঔপনিবেশিক শাসনের বন্ধনে থেকে মুক্তির জন্য উদ্বেল হয়ে উঠে |

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে এই আন্দোলন তীব্র হয়ে উঠে এবং এই যুদ্ধের বৈশিষ্ট্য হলো এসব ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যের বিলোপ সাধন|

দ্বিতীয়-বিশ্বযুদ্ধের-পর-সাম্রাজ্যবাদের-পতন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ

দ্বিতীয়-বিশ্বযুদ্ধের-পর-সাম্রাজ্যবাদের-পতন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ

দ্বিতীয়-বিশ্বযুদ্ধের-পর-সাম্রাজ্যবাদের-পতন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ



দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তীকালে পশ্চিম সাম্রাজ্যবাদের দ্রুত অবক্ষয়ের পশ্চাতে নানা কারণ বিদ্যমান ছিল, যথা-

প্রথমত

সাম্রাজ্যবাদের অক্ষয়ের পিছনে সর্বপ্রথম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভূমিকার কথা বলা যায়| দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রশক্তি জোট তাদের অধীনে থাকা উপনিবেশ গুলিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, যুদ্ধ শেষে উপনিবেশ গুলিকে স্বাধীনতা দেওয়া হবে| তাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে উপনিবেশবাসীরা মিত্রশক্তির কাছে যুদ্ধকালীন প্রতিশ্রুতি রক্ষার দাবি করে স্বাধীনতা দাবি করেছিল| 

প্রসঙ্গত যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ব্রিটিশ সাম্রাজ্য সমেত সমগ্র উপনিবেশ ব্যবস্থায় সংকট তীব্রতর করেছিল| দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অর্থনৈতিক আঘাতে সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলো সহ্য করতে পারেনি| এই যুদ্ধে পশ্চিমী সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো জয়লাভ করলেও সামরিক ও আর্থিক দিক দিয়ে খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছিল| তাই উপনিবেশগুলিকে রক্ষা করার মতো সামর্থ্য তাদের ছিল না|



দ্বিতীয়ত

সাম্রাজ্যবাদের অবক্ষয়ের পেছনে আরেকটি কারণ ছিল- ঔপনিবেশিক শক্তিরগুলির মধ্যেকার তীব্র অন্তবিরোধ| বিশেষ করে প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো তাদের প্রতিস্পর্ধী শত্রুদের দুর্বল করতে মাঝে মাঝে ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে উপনিবেশগুলির জনগণকেই স্বাধীনতা আন্দোলনে উৎসাহ দিয়েছিল|

ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, পর্তুগাল, স্পেন, বেলজিয়াম, হল্যান্ড, ইতালি প্রভৃতি দেশগুলির নিজ নিজ ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য ছিল| নিজেদের মধ্যেকার রেষারেষি দরুন এইসব ইউরোপীয় শক্তিগুলোর একে অপরের উপনিবেশিক জাতীয় মুক্তি আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে ও উৎসাহ দিয়ে ঔপনিবেশিক ব্যবস্থার অবসানের পথ প্রস্তুত করে দিয়েছিল|




তৃতীয়ত

সাম্রাজ্যবাদ অবসানের কারণ ছিল, উপনিবেশগুলোতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার| পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে উপনিবেশগুলোতে পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত এলিট গোষ্ঠীর আবির্ভাব ঘটে| এই বুদ্ধিজীবী শ্রেণী পশ্চিমী উদারবাদ, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠেন এবং নিজ দেশের জনগণকে স্বাধীনতা সংগ্রামে সংগঠিত করেন|


চতুর্থত

জাতীয়তাবাদ ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার ঔপনিবেশিকতার অবসানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল| বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই উপনিবেশগুলোতে জাতীয়তাবাদের দ্বারা অনুপ্রাণিত জাতীয়তাবাদী সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলি স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু করেছিল| প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার সমন্বিত জাতীয় সরকারের ধারণা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল|

দ্বিতীয়-বিশ্বযুদ্ধের-পর-সাম্রাজ্যবাদের-পতন
আমেরিকার মানচিত্র


মার্কিন রাষ্ট্রপতি উড্রো উইলসন গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার জন্য উদ্যোগী হয়েছিলেন| আদর্শবাদের উপর ভিত্তি করে মধ্য ও পূর্ব ইউরোপে জাতীয়তাবাদ স্বীকৃতি পেয়েছিল| পোল্যান্ড, চেকোস্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া ইত্যাদি জাতিগুলি স্বাধীনতার আস্বাদ পেয়েছিল| আত্মনিয়ন্ত্রণ তত্ত্বের প্রত্যক্ষ প্রভাবে সাম্রাজ্যবাদী শাসনে এশিয়া-আফ্রিকার পরাধীন দেশগুলিতে স্বাধীনতার আশঙ্কা অভাবনীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং সেখানে স্বাধীন জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা হবার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছিল|


পঞ্চমত 

ঔপনিবেশিক শক্তিগুলির নির্মম শোষণ ও অত্যাচারে উপনিবেশ গুলির মানুষজনের নিত্যসঙ্গী ছিল- দারিদ্র্য, অশিক্ষা, শোষণ, লাঞ্ছনা ও অবমাননা| উপনিবেশবাসীর বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে, এই শোষণ ও যন্ত্রণার মুক্তির উপায় একমাত্র স্বশাসন|

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর উপনিবেশগুলোতে শোষণের মাত্রা বহুগুণ বৃদ্ধি পায়| কালোবাজারি, মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব তীব্র হয়| এই পরিস্থিতিতে উপনিবেশবাদের অবসানের দাবি আরো জোরালো হয়ে ওঠে|


ষষ্ঠত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক স্বার্থে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স সবদিক দিয়ে দুর্বল হয়ে পড়লে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মহাশক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে|

দ্বিতীয়-বিশ্বযুদ্ধের-পর-সাম্রাজ্যবাদের-পতন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পশ্চিমী উপনিবেশ শক্তিগুলিকে তাদের শাসনাধীন উপনিবেশগুলিকে স্বাধীনতা প্রদানের জন্য চাপ দিতে থাকে| আমেরিকা আশা করেছিল, উপনিবেশবাদের অবসান ঘটলো যে "মুক্ত দুনিয়া" আত্মপ্রকাশ করবে, তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা-বাণিজ্যের সহায়ক হবে|


সপ্তমত 

সাম্রাজ্যবাদের দ্রুত প্রসার ও আলাদাভাবে সমাজতন্ত্রী শক্তি হিসেবে সোভিয়েত ইউনিয়নের জোরালো উপস্থিতি উপনিবেশবাদের উপর চরম আঘাত হেনেছিল| সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রচন্ড রকম উপনিবেশ বিরোধী ছিল| বিশ্বজুড়ে সাম্যবাদী প্রভাব বৃদ্ধির আকাঙ্ক্ষায় এবং উপনিবেশগুলিকে সম্ভাব্য সোভিয়েত আগ্রাসনের থেকে রক্ষা করতে পশ্চিমী শক্তিগুলো উপনিবেশগুলিকে স্বাধীনতা দানের প্রস্তুতি নিতে থাকলো|


অষ্টমত 

ভারতের নেতৃত্বে গঠিত "জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন" তৃতীয় বিশ্ব অর্থাৎ এশিয়া আফ্রিকা থেকে উপনিবেশবাদকে নির্মূল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল| জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের শীর্ষ নেতারা উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে যেকোন আন্দোলনে পরোক্ষভাবে সমর্থন ও সহযোগিতা করেছিল|


নবমত

রাষ্ট্রসংঘের গঠন ও তার কর্মসূচি উপনিবেশগুলির বিলুপ্তিতে বিশেষ কার্যকর ছিল| রাষ্ট্রসংঘের মহাসনদের নানা অনুচ্ছেদে উপনিবেশগুলিকে স্বায়ত্তশাসন প্রদানের কথা বলা হয়েছে| রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাবিত "নতুন বিশ্ব" ছিল এক বিশ্ব, যেখানে প্রতিটি জাতি ও রাষ্ট্র সমান মর্যাদা ও অধিকার অর্জন করবে| এর প্রয়োজনেই উপনিবেশবাদের অবসান জরুরী ছিল|

সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো জাতিপুঞ্জের ডাকে সাড়া দিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই তাদের উপনিবেশ গুলিকে স্বাধীনতার দিয়েছিল| তারা বিশ্ব জনমতকে উপেক্ষা করতে পারেনি| অবশ্য পরিস্থিতির চাপেই তারা উপনিবেশ গুলিকে স্বাধীনতা দিয়েছিল| কোন নৈতিক মূল্যবোধের চাপে নয়|




তাৎপর্য

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর উপনিবেশবাদের অবসান বিশ্বের ইতিহাসে এক নাটকীয় পরিবর্তন এনেছিল এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ইতিহাসে এক নতুন যুগের সূচনা করেছিল|

ঐতিহাসিক ব্যারাক্ল যথার্থই মন্তব্য করেছেন- সাম্রাজ্যবাদী শাসনের অবসান হলে এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকায় স্বাধীন রাষ্ট্রগুলির সংখ্যা প্রচুর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়| এই সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত দেশগুলো আন্তর্জাতিক রাজনীতিকে নানাভাবে প্রভাবিত করে|

1) আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রসার 

বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্পর্কের পরিধি প্রধানত ইউরোপ এবং কিছুটা উত্তর আমেরিকা পর্যন্তই সীমিত ছিল| কিন্তু সাম্রাজ্যবাদী শাসনের অবসান হলে এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকায় বহু সার্বভৌম রাষ্ট্রের উদ্ভবের মধ্য দিয়ে বিশ্ব রাজনীতির প্রসারিত হয়| সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত এইসব দেশের আঞ্চলিক সমস্যা আন্তর্জাতিক রাজনীতির মধ্যে স্থান পেতে থাকে| এতে আন্তর্জাতিক রাজনীতি আরো জটিল হয়ে উঠে|


2)সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত প্রাপ্য দেশগুলিতে আমেরিকা ও রাশিয়ার অনুপ্রবেশ

সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর অপসারণের ফলে সদ্য স্বাধীনতা দেশগুলিতে যে আপাত শক্তি শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছিল, তা পূরণ করতে দুই মহাশক্তিধর রাষ্ট্র আমেরিকা ও সোভিয়েত রাশিয়া অতঃপর তৎপর হয়ে উঠে|

সদ্য স্বাধীন দেশ গুলি অর্থনৈতিক দিক থেকে পশ্চাতপট হওয়ায় উন্নয়নের জন্য তারা এই দুই মহাশক্তিধর দেশের মুখাপেক্ষী ছিল| এই সুযোগে ওই সমস্ত দেশে দুই মহাশক্তি নিজ নিজ প্রাধান্য ও প্রভাব বিস্তার করতে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমে পড়ে|


3) নতুন রাষ্ট্রগুলি ছিল ঠান্ডা লড়াই এর ক্ষেত্র

এই নতুন রাষ্ট্রগুলি ক্রমে আদর্শগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও ঠান্ডা লড়ায়ের রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল|


4) রাষ্ট্রসংঘের পরিধি বৃদ্ধি 

"তৃতীয় বিশ্ব" নামে পরিচিত আফ্রো-এশিয়া জগতের উত্থানের পরিণতিতে রাষ্ট্রসংঘের পরিধি ও কাজকর্মের ব্যাপ্তি বিশেষ ভাবে বৃদ্ধি পায়|


মূল্যায়ন

নতুন রাষ্ট্রগুলির প্রতিষ্ঠা একদিকে যেমন ক্ষমতার নতুন নতুন কেন্দ্রের জন্ম নিয়েছিল, অন্যদিকে তেমনি রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও দ্বন্দ্বের জন্ম নিয়েছিল| তবে আঞ্চলিক সংঘর্ষই নয়, নিজেদের সুবিধার্থে তারা পারস্পরিক সহযোগিতার নীতি নিয়ে আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠে| এগুলি হল- ASEAN, SAARC ইত্যাদি|



তথ্যসূত্র

  1. Manfred B. Steger, "Globalization: A Very Short Introduction".
  2. Prakash Chandra, "international relations & comparative politics".
  3. Garrett W Brown, "The Concise Oxford Dictionary of Politics and International Relations ".

সম্পর্কিত বিষয়

  1. ওপেক কি ? | What is OPEC ? (আরো পড়ুন)
  2. সার্কের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য (আরো পড়ুন)
  3. আসিয়ানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য  (আরো পড়ুন)
  4. বিশ্বায়নের সংজ্ঞা এবং তৃতীয় বিশ্বের উপর বিশ্বায়নের প্রভাব (আরো পড়ুন)
  5. বিশ্বায়নের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক আলোচনা (আরো পড়ুন)
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ| আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো| আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন|
                     .......................................


    নবীনতর পূর্বতন
    👉 আমাদের WhatsApp Group- ক্লিক করুন 🙋‍♂️
    
        
      
      👉 আমাদের WhatsApp Channel- ক্লিক করুন 🙋‍♂️
      
    
    
      
    
       
    
        👉 আমাদের Facebook Group- ক্লিক করুন 🙋‍♂️
      
    
    
      
    
       
      
      
        👉 আমাদের Facebook Page-ক্লিক করুন 🙋‍♂️
    
    
        👉আমাদের YouTube চ্যানেল - সাবস্ক্রাইব করুন 👍 
    
    
    
    
        
      
    
      
    
    

    টেলিগ্রামে যোগ দিন ... পরিবারের সদস্য

    
    

    টেলিগ্রামে যোগ দিন ... পরিবারের সদস্য


     


     




    
    

    👉নীচের ভিডিওটি ক্লিক করে জেনে নিন আমাদের ওয়েবসাইটের ইতিহাস এবং বিভিন্ন চাকুরী সম্পর্কিত পরিসেবাগুলি 📽️

    
    
    

    👉 জেনে আপনি আমাদের প্রয়োজনীয় পরিসেবা 📖

    👉ক্লিক করুন 🌐