1835 খ্রি. চিনের সঙ্গে বানিজ্যের জন্য ব্রিটেন উদ্যোগ হলে দুই শক্তির মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে। পরিণতি স্বরূপ 1840-42 খ্রি. আফিঙ্গের যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে পরাজয়ের পর চিন বিজয়ী শক্তির সঙ্গে 1842 খ্রিঃ নানকিং, 1842-1844 খ্রি. ওয়াং শিয়া চুক্তি সম্পাদন করতে বাধ্য হয়ে ছিল। এই চুক্তি গুলিকে এক সঙ্গে বা একত্রে চুক্তি ব্যাবস্থা বলা হয়। নানকিং এর চুক্তি অনুযায়ী চিন চিন গ্রেট ব্রিটেন কে হাংকাং সমর্থন করে ক্ষতি পূরণ বাবদ 21 মিলিয়ন ডলার চিন ব্রিটেনকে দিতে বাধ্য হয়।
চিনের সাথে পাশ্চাত্য দেশ সমূহের সম্পর্কের ইতিহাসে ক্যানটন বানিজ্য উল্লেখ যোগ্য স্থান অধিকার করে আছে। অষ্টদশ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে ইউরোপীয় বনিকদের সাথে চিনের বানিজ্যিক সম্পর্ক ক্যানটন প্রথার দ্বারাই প্ররিচালিত হত। এই বানিজ্য প্রথার প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল চিনের বিদেশি বনিকদের যথেষ্ট প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে ক্যানটনে বানিজ্য করতে হত।
👉ক্যান্টন বাণিজ্যের বৈশিষ্ট্য
ক্যানটন বানিজ্য প্রথার অন্যতর বৈশিষ্ট্য হলো ছিল ক্যানটন শহরে কতকগুলি চিনা বানিজ্যিক সাবস্থা: সে গুলিকে একত্রে ২০০৩ বলা গড়ে উঠেছিল। এই সংগঠন ক্যানটন অঞ্চলে বৈদেশিক বানিজ্যের ক্ষেত্রে একচেটিয়া তঅধিকার ছিল। "ক্যানটনে" নির্ধারিত মূল্যে বিদেশি বনিকরা তাদের বানিজ্য পন্য বিক্রয় করতে বাধ্য থাকত। কোন বিদেশি জাহাজ ক্যানটন বন্দরে এসে উপস্থিত হলে একজন নির্দিষ্ট ২০ বনিকের মাধ্যমে সে জাহাজকে যাবতীয় বানিজ্য করতে হত।
............. সমাপ্তি...........
✍️লেখিকা পরিচিতি
 |
নাম- Muntaha Yasmin ইউনিভার্সিটি - University of Gour Banga |
👉 তথ্যসূত্র
- অমিত ভট্টাচার্য, "চীনের রূপান্তরের ইতিহাস 1840-1969"
- Jonathan Fenby, "The Penguin History of Modern China".
✍️সম্পর্কিত বিষয়
✍️সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো। আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন🙏।
