আকালি আন্দোলন যাকে গুরুদ্বার সংস্কার আন্দোলনও বলা হয়, এটি ছিল 1920-এর দশকের গোড়ার দিকে ভারতের গুরুদ্বার (শিখ উপাসনালয়) সংস্কার আনার একটি প্রচারণা। আন্দোলনটি 1925 সালে শিখ গুরুদ্বার বিল প্রবর্তনের দিকে পরিচালিত করে, যা ভারতের সমস্ত ঐতিহাসিক শিখ উপাসনালয়কে শিরোমনি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটির (এসজিপিসি) নিয়ন্ত্রণে রাখে।
আকালি আন্দোলনের পটভূমি
- আকালি আন্দোলন শিখ সংস্কারকদের দ্বারা তাদের ধর্মীয় স্থানগুলিকে শুদ্ধ করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। যেগুলি ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রবেশ করার খারাপ সামাজিক অভ্যাসগুলিকে সরিয়ে দিয়ে।
- শিখ গুরুরা ধর্মশালাকে ধর্মীয় কার্যকলাপ এবং সামাজিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেইসাথে দরিদ্র ও অভাবীদের খাদ্য ও আশ্রয় প্রদান করার জন্য।
- সর্বজনীন সাম্যের শিখ শিক্ষা এখানে চর্চা করা হয়েছিল। জাতি, বর্ণ বা লিঙ্গ নির্বিশেষে প্রত্যেককে এই স্থানগুলি পরিদর্শন করতে দেওয়া হত। এবং বিনামূল্যের খাবারে অংশ নিতে স্বাগত জানানো হত।
- সেই সময়ে শিখ ধর্মকে একটি মূল্যবান সেবা প্রদান করেছিলেন।
- তাদের বেশিরভাগই কোনও নির্দিষ্ট মন্দির বা এর সম্পদ এবং সম্পত্তির সাথে সংযুক্ত ছিল না তবে পরিবর্তে বিভিন্ন জায়গায় জায়গায় স্থানান্তরিত হত।
এক কথাই বলা যায় যে, শিখ সংস্কারের দ্বারা ধর্মীয় স্থান গুলো শুদ্ধ বা পবিত্র করা হতো। এই ধর্মীয় স্থানে বিনামূল্যে দরীদ্র ও অভাবী মানুষদের খাদ্য এবং আশ্রয় দেওয়া হতো। অর্থাৎ সেই সময়ে দরীদ্র মানুষদেরকে একটি মূল্যবান সেবা প্রদান করা হতো।
তথ্যসূত্র
- সুমিত সরকার, "আধুনিক ভারত"
- শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, "পলাশি থেকে পার্টিশন"
- Ishita Banerjee-Dube, "A History of Modern India".
সম্পর্কিত বিষয়
লেখক পরিচিতি
নাম- সুমন মোহন্ত কলেজের নাম- নেতাজি মহাবিদ্যালয় (২ সেমিস্টার, ইতিহাস অনার্স) ঠিকানা- আরামবাগ, মায়াপুর, পিন কোড- ৭১২৪১৩ |
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশাকরি আমাদের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলো। আপনার যদি এই পোস্টটি সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করে জানাতে পারেন এবং অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে অপরকে জানতে সাহায্য করুন।
.......................................